মিলি সেকেন্ডের জীবন বোধ-২

 


পুরোদিনের ক্লান্তি-অবসাদ, বিষন্নতা-অমগ্নতার আড়ালে বহু কিছু এড়িয়ে যেতে হয়! কত কি!


তবু দুর্বোধ্য কি এক সফলতার পিছু!


এই সফলতার বাগানে ঢুকতে না পারলে জীবনের নির্মম বাস্তবতা খুব সন্দুর করে আমাকে ভালোবাসতে শুরু করে। তখন, তাকে ঘৃণা করতেই ভূলে যায়! এতো বেশি ভালোবাসে আমায়। বুঝা যায় কিছু?


পরিকল্পনা ছিল এক! সেই এক আসলে মিলেছে সব কিছুতে? না। মোটেও না।


রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম, গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করে দেয়। যাত্রীর অপেক্ষা, যাত্রীর তোলাতে সময় কাটে বেশ, গন্তব্যে পৌঁছাতে লেগে যায় সময়! তবুও আফসোস নেই। শেষে গিয়ে কি অদ্ভুত সফলতাকে ছুতে পারার আনন্দ; বেশ। আর কি লাগে? শুধু একরত্তি সফল হওয়া।


সফলতার বাইরে আছে শুধু বেঁচে থেকেও মৃত্যুময় যন্ত্রণা।


মিউজিকের তালে, কানে মিউজিকে কিছু আবেগি ছন্দ বেশ দোলা দেয় মনে। ডোপামিন যেন বাড়িয়ে দেবে। অক্সিটোসিন হরমোন আমাকে ছুটাতে থাকে নানা দিকে। আমি করি না অক্সিটোসিন কে নিয়ন্ত্রণ; অক্সিটোসিন-ই করছে আমায়। কখনো হাতে পায়ে শিকল বেধে উত্তাল সমুদ্রে লাফ দিয়ে হারাতে চাই! কখনো বা অন্য কোনো ছন্দে, অন্য কোনো আয়েশি চিন্তায় হারাতে যায়। সে কি! আমি বেঁচে থাকবো না?



বিআরটিসি বাসে উঠি! ভাড়া কম তবে নরমাল বাসের চেয়ে আরাম একটু ভালো। সিএনজি ভাড়া বেশি কিন্তু প্রতিনিয়ত যেমন পায় তেমনি প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বিআরটিসি? প্রতিনিয়ত থাকলেও প্রতি মুহূর্তে তাকে পায় না। যদি পেয়ে বসি। আর ছাড়ার ইচ্ছে থাকে না। সব ছেটে ছুড়ে তোমাকে ধরতে পারলেই যেন আমার ডোপামিন, স্রোতের মত বইয়ে আমাকে


হ্যাব্বি রাখে। কিন্তু; এখানে যে গাপলা খুজে পায়। রাগ করে বিআরটিসি থেকে নেমে হেটে পাড়ি দেওয়া শুরু করি। গন্তব্যে


বিআরটিসি-র আগে পৌঁছাতে পেরে কি যে খুশি লাগে। গাপলা টা আসলে কেন? এ দেশের ট্রাফিক পাগল করে দেবে। সিএনজি ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে চলে যেতে পারলেও এই বিআরটিসি বাস সাহেব আর যেতে পারে না। হেইও হেইও করতে করতে ছুটে চলে। রাস্তার অবস্থা দেখেও তাকে গতি সামলে নিতে হয়! তা না হলে যে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা! এই সম্ভাবনাকে তো আর ফেলে দেওয়া যায় না। উন্নয়নশীলতায় আমি আজও উন্নত হচ্ছি! আজও হচ্ছি। থামবো কোথায়?


আরিফুল ইসলাম জানুয়ারি-২৪,২০২২


Comments